সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটকারী হিসেবে বেশ আলোচিত। এবারের নির্বাচনে তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢাকা-৮ আসনে। আদালত অঙ্গনে আলোচিত এই আইনজীবী রাজনীতিতে এসেও জন্ম দিয়েছেন আলোচনার। নির্বাচনী পোস্টারে নিজের দুটি মোবাইল ফোন নাম্বার জুড়ে দিয়েছেন। তার দাবি, ভোটার এবং সাধারণ মানুষ যাতে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্যই তার এই উদ্যোগ। এতে তিনি সাড়াও পাচ্ছেন। অনেকে ফোনে তারা নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
ইউনুছ আলী আকন্দের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। পড়াশোনা শেষে ১৯৭৯ সালে আইন পেশায় আসেন। জনস্বার্থে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, নদী, খাল, রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি, রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপসহ নানা বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। তবে তার বেশির ভাগ রিট আবেদন খারিজ হয়ে যায়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রিটে জয়ী হয়ে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
নির্বাচন কেন্দ্র করে তিনি ইতোমধ্যে দুটি রিট করেছেন। প্রথমটি করেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে। পরে অবশ্য সেটি খারিজ হয়ে যায়। রবিবার আরেকটি রিট করেন নিজের আসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ও ভোট গণনার প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়ে। তবে সেই রিটটির এখনো সুরাহা হয়নি।
নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রচার-প্রচারণাসহ সার্বিক বিষয়ে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে কথা বলেন ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজসহ অনেক জায়গায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছি। এবার আমি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করি, এখানেও ভালো করব।’
জাতীয় পার্টি থেকে কীভাবে মনোনয়ন পেলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার একটা মার্কা দরকার ছিল। প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা দেয়নি। পরে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাওয়ায় লাঙ্গল পেয়েছি।’
প্রচারণায় কেমন সাড়া পাচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রচারণা তো চালাতে পারছি না। পুলিশ দাঁড়াতে দিচ্ছে না আমাদের কর্মীদের। আমি একা একা হাঁটি। অথচ রাশেদ খান মেনন তার পোস্টারে শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটা তো বেআইনি।’
নির্বাচনে কেমন ফলাফল প্রত্যাশা করছেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রাশেদ খান মেনন এই এলাকায় কোনো কাজ করেননি। তাই তাকে লোকজন ভোট দেবে না। আর মির্জা আব্বাস দুর্নীতিবাজ, তাই তাকেও মানুষ ভোট দেবে না। সুষ্ঠু ভোট হলে ৯০ ভাগ ভোট লাঙ্গল পাবে।’
পোস্টারে নিজের মোবাইল নম্বর দেয়ার বিষয়ে বলেন, ‘এতে কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি। এটা করেছি, যাতে মানুষ আমার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারে। অনেকে ফোন করছে। এই যেমন আপনিও (প্রতিবেদক) পোস্টার থেকে নম্বর নিয়ে আমাকে ফোন দিয়েছেন। এটা সম্ভব হতো নম্বর না দিলে?’